নয়ন সরকার।
সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের মরহুম শাহজাহান ওরফে ডেঙ্গর আলীর ছেলে ছুরিকাঘাতে আহত ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া (৫০) অবশেষে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
জানা গেছে,গত মঙ্গলবার ৩ অক্টোবর ২০২৩ ইং সকাল সাড়ে দশটার দিকে একই ইউনিয়নের বাড়ি মজলিশ গ্রামের মৃত মজিব প্রধানের ছেলে মো: জামান প্রধান ব্যবসায়িক কাজের কথা বলে মৃত হাশেম প্রধানের ছেলে রাজ্জাকের বাড়ীতে ডেকে নিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মো: ফজল মিয়াকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, কিলঘুষি মারিয়া নীলাফুলা জখম ও আহত করে। এ সংবাদ পেয়ে আহতের ছেলে ইয়াছিন হোসাইন নির্ঝর ও ছোট ভাই মোঃ দুলাল মিয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে দুলাল মিয়াকে এলোপাথাড়ি কুুপিয়ে পেটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নারী-ভুড়ি বের করে হত্যার চেষ্টা করে গুরুত্বর রক্তাত্ব জখম করে।
আহতের ভাতিজা ইয়াছিন হোসাইন নির্ঝর জানান, তার বাবাকে ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে তখন আমি আমার বাম হাত দিয়ে প্রতিহত করিলে আমার বাম হাতের কজ্বি কেঁটে রক্তাত্ব জখম হয়।
এসময় আমাদের ডাক চিৎকার শুনিয়া এলাকার লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীরা আমাদের খুন জখমের হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলিয়া যায়। এলাকার লোকজন আমাদের উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত ডাক্তার আমার চাচা দুলাল মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরন করেন। সেখানে আমার চাচা আহত দুলাল মিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা অবস্থায় শুক্রবার রাতে মৃত্যুবরন করেন।
এ ঘটনায় গত বুধবার সকালে আহতের ভাতিজা ইয়াছিন হোসাইন নির্ঝর, বাদি হয়ে সোনারগাঁও থানায় রাজ্জাক, মেহেদি, মহসীন, ইমদাদ হোসেন, জামান, শামীম, সজিব, শাহ আলমসহ, আরো ১০-১৫জন অজ্ঞাতনামাকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে সোনারগাঁও থানার এসআই মো. ইমরান হোসেন ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইমদাদ হোসেন (৫৫) ও আরমানকে (৪৩) গ্রেপ্তার করেন।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে