নিজস্ব প্রতিবেদক।
সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খোরশেদ ফরাজী মঙ্গলেরগাঁও বটতলা বাজার এলাকায় তার নিজ অফিস কক্ষে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন।
১৮ই সেপ্টেম্বর সোমবার সন্ধ্যা ৭টার সময় উক্ত সংবাদ সম্মেলনে মেম্বার খোরশেদ ফরাজী বলেন,আমি সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের একজন মেম্বার। আমি দীর্ঘ দিন যাবৎ সৌদি প্রবাসি ছিলাম।সেখান থেকে এসে ইউপি নিবার্চনে জনগণের ভোটে জয় লাভ করে এলাকায় মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। ইউপি নির্বাচনে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার সোনারগাঁ প্রতিনিধি মোঃ আনোয়ার হোসেন আমার প্রতিদ্বন্দী হয়ে হেরে যাওয়ায়,সে আমার প্রতি মনক্ষুন্ন। আমি তা বুঝতে পারি নাই। সেই কারনে এলাকার একটি কুচক্রী মহলের সাথে আতাত করে অর্থের বিনিময়ে আমাকে জড়িয়ে বিভিন্ন সময় আরো অন্যান্য সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় আমার মান -সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য বিভিন্ন মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানায় কাইয়ুম নামের এক ব্যক্তি মঙ্গলেরগাঁও মৌজায় ৬ শতাংশ জায়গা -জমি দখল নিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন এবং আমি নাকি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র এবং লাঠি সোঠা নিয়ে তাদের উপর হামলা করেছি। এটা নিতান্তই একটি গুজব এবং মিথ্যা ও বানোয়াট।এ ব্যাপারে আমার বিরুদ্ধে দৈনিক সকালের সময় এর সোনারগাঁ প্রতিনিধি মোঃ আনোয়ার হোসেন ও দৈনিক দেশের কন্ঠ পত্রিকয় ১৭ই সেপ্টেম্বর একটি নিউজ ছাপা হয়। এ বিষয়ে আমার কাছ থেকে ঐ পত্রিকার সাংবাদিকগণ কোন কিছু জিজ্ঞেস না করে,নিজের মনগড়া আমার বিরুদ্ধে একটা মিথ্যা অপবাদ মূলক সংবাদ প্রকাশ করে।আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।আপনারা মিডিয়া এবং প্রিন্ট মিডিয়ার অনেক সাংবাদিক এখানে উপস্থিত রয়েছেন। আপনাদের কাছে আমার আকুল আবেদন,তার সত্যতা সঠিকভাবে যাচাই -বাছাই করে এর একটি সঠিক সংবাদ প্রকাশ করুন।আমি তাদের বিরুদ্ধে আইন-আনুক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত নিয়েছি।আমাকে কেন মিথ্যা অপবাদে জড়িয়ে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ করা হলো। আমিএর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
ঐ ৬শতাংশ জায়গা কার? এটা কি আমার? আমি এলাকার একজন মেম্বার হিসেবে কাইয়ুম ও সেলিমকে মেপে বুঝিয়ে দিয়ে মিমাংসা করে দিয়েছি। তারা ছয় মাস পরে অন্য কারো পরার্মশে কাইয়ুম আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করতে গেলে মনু মেম্বার খোরশেদ মেম্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ না করার জন্য অনুরোধ করলে তারা অভিযোগ তুলে নিয়ে আসেন।পরে কেন আবার বিরুদ্ধে একটি নিউজ প্রকাশিত হয়। এতে বূঝা যায় অর্থ লোভী একজন সাংবাদিকের কাজ।
আর আমার অফিস শীততাপ নিয়ন্ত্রিত।অ-বৈধ ভাবে নাকি আমি অর্থ উপার্জন করে এগুলো করছি।যেখানে প্রচুর গরম।সেখানে আমি জনগণের খেদমতের জন্য একটা ভালো ব্যবস্থা করতেই পারি। এটা আমার দোষের কিছু নাই। এটা নিয়েও ঐ সাংবাদিকরা বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। আমার ইনকাম কি?আমি দীর্ঘদিন যাবত প্রবাসে ছিলাম।আমার বিভিন্ন দরনের ব্যবসা রয়েছে। আমি আমার নিজ অর্থায়নে করোনা কালীন সময়ে প্রায় ৪০০/= লোকদের খাবার ঘরে ঘরে পৌছে দিয়েছি। মসজিদ -মাদ্রাসায় যখন যা লাগে তা দিয়েই সহযোগিতা করেছি আমি।পরিশেষে তিনি বলেন, আমি প্রবাসে থাকাকালীন ঐ সাংবাদিকদের নিউজ করার জন্য মোবাইল দিয়েও সহযোগিতা করেছি। আর কি বলব আমি আপনাদের কাছে?আপনারা সকলে ভালো থাকুন,সুস্থ্য থাকুন,সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।