নিজস্ব প্রতিবেদক।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সোনারগাঁ উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জুনায়েদ (১২) নামের এক সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রকে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। গত বুধবার এশার নামাজের পর পৌরসভার জয়রামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জুনায়েদ পৌর-ভবনাথ পুর এলাকার সৌদি প্রবাসী জহিরুল ইসলামের ছেলে। পরে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ভুক্তভোগীর মা কোহিনুর আক্তার এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে পৌর এলাকার জয়রামপুর গ্রামের মোশাররফ মোল্লা (৫০) তার স্ত্রী রানু আক্তার (৪২) সহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জমি জমা ও টাকা পয়সা ধার চাওয়া নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো, তারই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার তারাবীহ নামাজের সময় সোনারগাঁ উপজেলা কেন্দ্রীয় মডেল জামে মসজিদ থেকে জুনায়েদকে আটক করে মোশাররফসহ ৩/৪ জন মিলে পৌর এলাকার জয়রামপুর গ্রামের নিয়ে গিয়ে থাই ভাংঙ্গার অপবাদ দিয়ে রান্না ঘরে বেঁধে রেখে ওই ছাত্রকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে ওই ছাত্রের মা কোহিনূর ও তার খালু মোহাব্বত আলী উদ্ধার করতে গেলে তাদেরও মারধর করেন মোশাররফ মোল্লা গং। পরে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এঘটনায় ওই ছাত্রের মা জানান, বিবাদী মোশারফ তার আপন মামা দীর্ঘদিন ধরে মোশারফ তার কাছ থেকে টাকা পয়সা ধার নিতেন, কয়েকবার ধার দেয়ারপরও মোশারফ আবারও টাকা ধার চায় পরে ধার না দেয়ায় তাদের মধ্যে বিরোধপূর্ন সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। এরই জেরে তার ছেলেকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি পিটাইয়া মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম কামরুজ্জামান বলেন, সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রকে মারধরের ঘটনা একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।