মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম,
পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে তিন রোহিঙ্গা তরুণীকে আটক করেছে স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোর সোয়া ৫টায় উপজেলা সদর ইউনিয়নের দর্জিপাড়া গ্রামের সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, কক্সবাজারের শ্বরণার্থী শিবিরের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং গ্রামের আবুল ফয়েজের মেয়ে মাইজুমা (১৭), শফি উদ্দীনের মেয়ে শারমিন আক্তার (১৭) ও কুতুবদিয়া উপজেলার ভাসানচর গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে নুর ছাফা (১৮)।
সরেজমিনে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোর সোয়া ৫টায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সদস্য জানতে পেরে স্থানীয় লোকজনসহ চেয়ারম্যানকে সংবাদ দেয়। চেয়ারম্যান স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে নারী রোহিঙ্গাদের ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসেন।
আরও জানা যায়, ধৃত ব্যক্তিগণ মায়ানমারের নাগরিক। তাহারা ৮বছর যাবৎ বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করছিলেন। গত রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রোহিঙ্গা ক্যাম্প হতে বাহির হয়ে কক্সবাজারের ইসমাইলের মাধ্যমে গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে। ভারতে প্রবেশের পর গত শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সিআইডি তাহাদের আটক করে ভারতীয় বিএসএফের নিকট হস্তান্তর করে। অদ্য মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় বিএসএফ সীমান্ত মেইন পিলার নং ৪৪১/৭ এস দিয়ে তাহাদের অবৈধভাবে বাংলাদেশের ভিতরে পাঠিয়ে দেয়। এরপর উপজেলার শারিয়ালজোত বিওপি ক্যাম্পের সদস্যরা সীমান্তের মেইন পিলার ৪২১ এর কাছাকাছি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সকাল ৭টায় স্থানীয়দের নিয়ে দর্জিপাড়া গ্রামের দর্জিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান কক্সবাজারের উখিয়ার বাসিন্দা প্রতারক ইসমাইল হোসেন।
তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদ করিম সিদ্দিকী বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পেরে ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। বর্তমানে রোহিঙ্গা ওই তিন তরুণী তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে বিজিবির হেফাজতে রয়েছেন। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানায় তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলে রাব্বি সাংবাদিকদের বলেন, বিজিবি স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই তিন রোহিঙ্গা তরুণীকে আটক করে সদর ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসে। এরপর আমরা বিষয়টি জেনে ওই তরুণীদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরেও যোগাযোগ করেছি। তারা সেখানকার বাসিন্দা বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি।