নিজস্ব প্রতিবেদক।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তার পূর্বাপাশ উপজেলা ও থানা রোড যোগাযোগের অন্যতম ব্যস্ত এ রাস্তাটি। প্রতিদিনই এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন কয়েক লক্ষ মানুষ, আর ব্যস্ততম এই রাস্তায় যানজট নিত্যদিনের সঙ্গী অবিরত জ্যাম লেগেই থাকে।
দীর্ঘ এ যানজটের কারণে সোনারগাঁসহ আশেপাশের দুই থেকে তিনটি উপজেলাবাসীর ভোগান্তির কোন শেষ নেই।এবং সোনারগাঁয়ে এ রাস্তায় রয়েছে জরুরী চিকিৎসা সেবা থেকে শুরু করে কিছু সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান এ রোডে দিয়ে যোগাযোগের কারণে এলাকাবাসীর যাতায়াত তুলনামূলক অনেক বেশি।
সবকিছুর পরেও সোনারগাঁয়ের প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নিরব। কি বা কেন প্রশ্ন জনমনে। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হলেও সকলেই নিশ্চুপ। কোম্পানির ভারী যানবাহন অবৈধভাবে চলাচল থাকলেও প্রশাসনের নীরব ভূমিকা। যাত্রী সাধারণ জনগণ চরম দুর্ভোগ পোহাতে হলেও যেন এটি নিত্যদিনের সঙ্গী।
লক্ষ্য করা যায়, একাধিকবার এই রোড যানজট নিরসনের জন্য এসিলেন্ট ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনওর উদ্বেগ থাকলেও পড়তে হয় বাধার মুখে। নিরসনের কাজ শুরুর সূচনা হলে থেমে যেতে হয় এ রোডের যানজট নিরসনের কাজ। ফলে কোনভাবেই এই রোডের যানজট নিরসনের সমাধান মিলেনি আজও পর্যন্ত।
কোন এক উপমহলের স্বার্থের কারণে দীর্ঘদিন যাবত সোনারগাঁয়ের মানুষ এ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সোনারগাঁও উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পৌরসভা জনপ্রতিনিধি থানা পুলিশ এর যাতায়াত থাকলেও নেই তার কোন সুরাহা। এই রোড দিয়ে যাতায়াত হয় না সোনারগায়ের এমন কোন শ্রেণীর লোক নেই, তারপরেও এই রোডের এমন বেহাল দশা কেন প্রশ্ন সর্বস্তরের জনগণের।
বিশেষ কয়েকটি বিভাগ এই রোড দিয়ে যোগাযোগ করতে হয়,
এ রোড দিয়ে যোগাযোগ করতে হয় সোনারগাঁ থানা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, উপজেলা ভূমি অফিস সহ আনন্দবাজার, বৈদ্যের বাজার নানা স্থানে ।
জরুরী ভিত্তিতে এলাকাবাসী কোন রোগীর কে ঢাকার উদ্দেশ্যে নিতে চাইলে এ রোড ব্যবহার করতে হয় অথবা সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মুমূর্ষু রোগী হাসপাতালে নিতে চাইলে পড়ে থাকতে হয় এ যানজটের ভিতরে, ফলে সময় মত হাসপাতলে পৌঁছাতে না পারায় মাঝ রোডে পড়তে হয় বিপদজনক আশঙ্কায়। কখনো আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলে দীর্ঘ যানজটের কারণে মাঝপথে থেমে যায় অনেকের প্রাণ।
এ ভাবেই ভোগান্তিতে সোনারগাঁয়ের এলাকাবাসী থানা রোড নামে এ ভয়ঙ্কর একটি যাতায়াতের মাধ্যমে।
এ রোডের থ্রি হুইলার চালকদের কাছ থেকে জানা যায়, সোনারগাঁয়ে অবস্থিত কিছু কোম্পানির ভারী যানবাহন এ যানজটের মূল কারণ।
এ রোডটি সংকীর্ণ , সে তুলনায় থ্রি হুইলার পরিমাণে বেশি, ফলে যানজট লেগে থাকে দীর্ঘ সময়, তার উপর আবার কোম্পানির নিজস্ব ভারী যানবাহন , যার কারণে তৈরি হয় মহা যানজট, সাধারণ মানুষ ও যাত্রীদের পরতে হয় চরম ভোগান্তিতে।
এছাড়াও যত্রতত্র পার্কিং , লোড আনলোডিং সহ নানা কারণে এরোডে সর্বদা দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে।
এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকাবাসীর স্কুল, কলেজ, ভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সময়মতো পৌঁছাতে না পারায়, অফিস ব্যবসা-বাণিজ্যে সময়মতো উপস্থিত না হওয়াতে ।
প্রতিদিন এই রোড দিয়ে হাজার হাজার স্কুল কলেজ,ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্থানীয় কলেজ সহ ঢাকায় ক্লাস ও পরিক্ষা দিতে যায় এই রোড দিয়ে। কিন্তু জ্যামের কারনে তাদের যথাযথ সময়ে ক্লাস ও পরিক্ষায় অংশগ্রহনে ব্যর্থ।
এই জ্যামের কারণ হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,এই রোডে জ্যাম লাগার প্রধান কারণ হলো কোম্পানির ভারী যানবাহন।
এ রোডে অবস্থিত কিছু কোম্পানির ভারী যানবাহন চলাচল করে তার মধ্যে আমান কোম্পানি, বেঙ্গল, ফ্রেশ সহ আরো কিছু কোম্পানির ভারী যানবাহন।
তারা বলেন, তিন চাকা চলাচলের রোড দিয়ে যখন এই সমস্ত বড় গাড়ীগুলো ঢুকে পড়ে তখনই সৃষ্টি হয় তীব্র যানযট।
জ্যামের কারনে তাদের গাড়ী চালিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হয়।অনেকে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋন তুলে গাড়ী কেনায় সময় মতো কিস্তি পরিশোধ করতে পারতেছে না।এতে করে এনজিও ও সাধারণ মানুষের সাথে বাকবিতন্ড দেখা দিচ্ছে।
জ্যামের কারনে,১০ টাকার ভাড়া ১৫ থেকে ২০ টাকা দিয়েও যথাযথ সময়ে গন্তব্যে পৌছাতে পারছে না সাধারণ মানুষ।
এরি কারণে সাধারণ জনগণ সহ থ্রি হুইলার চালকদের দাবি, এই যানযট নিরসনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসন ও থানার ওসির দৃষ্টি আকর্ষণ ও হস্তক্ষেপ প্রয়োজন ।