বিএনপির হরতাল ও ৩ দিনব্যাপী অবরোধের বিরুদ্ধে, এবং জ্বালাও পোড়াও এবং পুলিশের উপরে হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, শেখ হাসিনা মৃত্যুর ভয় করেন না। তিনি শুধুমাত্র আল্লাহর ওপর বিশ্বাস করেন। ষড়যন্ত্র আরেকটু হবে। আমি বলেছি ওরা নাকে খত দিয়ে নির্বাচনে আসবে। কেউ ওদের ডেকে নিয়ে আসবে না। ওদের চরিত্র মানুষের কাছে প্রকাশ হয়ে গেছে। পশ্চিমাদের সুর নরম, এখন বলে শর্ত ছাড়া আলোচনায় বসো।
বুধবার (১ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল পার্কে (নম) ৪ নভেম্বর শাপরা চত্তরে আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশ সফল করতে আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি সভায় তিনি এসবস কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, বিএনপির আন্দোলনের মানুষ হত্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ওরা আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে। আমি এক দেড় বছর আগেই বলেছিলাম এমন হবে। ঢাকায় একটা মিটিং হল। একটা আমাদের, একটা ওদের। আমাদেরটা ওদের চেয়ে বড় ছিল। সারা বাংলাদেশের নেতাকর্মী নিয়েও ওদের মিটিং আমাদের চেয়ে ছোট ছিল। সরকারি দল হিসেবে আমাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকবেই। আমরা হামলা করিনি। ওরা গিয়ে প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করল। পুলিশকে পিটিয়ে মেরে ফেলল। ওদের ছাত্রদলের এক নেতা মৃত মানুষটাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়েছে। সরকারি পুলিশকে এভাবে কুপিয়েছে। তার পকেট থেকে মোবাইল মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অনেকের প্রশ্ন যে দলের কর্মী বাদে প্রস্তুতি সভায় এতো নেতা উপস্থিত হয় সেই জেলায় বিএনপি জামাত সন্ত্রাস করতে পারে কীভাবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রিজভী আহমেদ নারায়ণগঞ্জে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি কোথায় আছেন আমি জানি। উনি মাসদাইরে আছেন। শুরু থেকেই আমি জানি। শুধু দেখতে চেয়েছি ওদের সাংগঠনিক ক্ষমতা কতটুকু। আমি লজ্জিত হলাম, এদের সঙ্গে খেলবো কীভাবে। ছাত্রলীগ তো খেলবে না।
শামীম ওসমান বলেন, কী দৈন্য দশা ওদের। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আসে হরতাল করতে সঙ্গে আটজন। পাগলও যদি দাঁড়িয়ে কথা বলে সেটা শুনতে ১০ জনের বেশি লোক হবে। রিজভী সাহেব কেন্দ্রীয় নেতা ৮/৯জন লোক নিয়ে টায়ারে আগুন লাগিয়ে হরতালের উদ্বোধন ঘোষণা করলেন। অবরোধের দিনও আমরা জানি উনি কোথা দিয়ে বের হবেন। সেদিন বুঝেছিলেন তাদের অবস্থা খারাপ তাই শিবিরের ক্যাডার নিয়ে আমাদের ইয়াসিন ভাইয়ের পেট্রোল পাম্পের পাশের গলিতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর প্ল্যান ছিল। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ অত্যন্ত যোগ্যতা ও ধৈর্যের সঙ্গে এগুলো লক্ষ্য রাখছেন। সঙ্গে গোয়েন্দা সংস্থাও আছে।
অবরোধের প্রথম দিনে আড়াইহাজারে বিএনপির তান্ডবের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আড়াইহাজারে পুলিশকে কোপানো হল। কিছু মানুষ তাকে ভ্যানগাড়িতে তুলে দেয়। তারপরও তাকে মারা হল। আমি প্রশাসনকে ধন্যবাদ দেই আপনারা ধৈর্য্য ধরেছেন। ওরা ক্ষমতার ৫২ লক্ষ কিলোমিটারেও নেই। এখনই মৃত পুলিশকে চাপাতি দিয়ে কোপায় আর ক্ষমতায় আসলে কী করবে। সাংবাদিকদের মাটিতে ফেলে নির্দয়ভাবে পেটানো হচ্ছে। আমরা ধৈর্য্য ধরেছি। আমরা দেখাতে চাই ওরা গণতান্ত্রিক শক্তি না। জামাত বিএনপি মিলে এ কাজ করেছে। ওরা ভয় দেখায় কাকে, শেখ হাসিনাকে। শেখ হাসিনা যেদিন ভয় পাবে সেদিন দুনিয়া থাকবে না। কালকে সংবাদ সম্মেলনে জবাব পেয়েছেন তো।