ইকরামুল ইসলাম বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
বেনাপোল আন্তজার্তিক মাতৃভাষা উদযাপন দিবসে বেনাপোল চেকপোষ্টে নো-ম্যান্স ল্যান্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একুশে মঞ্চে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দু বাংলার ভাষা প্রেমী মানুষের মিলন মেলা।” সীমান্তের জিরো পয়েন্টে দু-বাংলার ভাষা প্রেমী মানুষদের মিলন মেলা উপলক্ষে নির্মান করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একুশে মঞ্চ ও অস্থায়ী শহীদ বেদী । এবারের দু’বাংলার মিলন মেলার আয়োজন করছেন দুই বাংলার আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন পরিষদ। এবারও দুই বাংলার মিলন মেলা অনুসষ্ঠান হচ্ছে পৃথক দুটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একুশে মঞ্চে। দু দেশের হাজার হাজার ভাষাপ্রেমী সাধারন মানুষ এ মিলন মেলায় অংশ গ্রহন করেন। সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত এ মিলন মেলা চলে। বেনাপোল আন্তজার্তিক মাতৃভাষা উদযাপন দিবসের তথ্য চিত্র নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরী করেছেন আমাদের বেনাপোল প্রতিনিধি ইকরামুল ইসলাম
প্যাকেজ- দু বাংলার ২১ শের মিলন মেলা অনুষ্ঠানের আহবায়ক ও শার্শা উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মনজু জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আন্তজার্তিক মাতৃভাষা উৎযাপনে বেনাপোল নো-ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় বসেছে দু বাংলার ভাষা প্রেমী মানুষের মিলন মেলা। মিলন মেলা উপলক্ষে নো-ম্যানাস ল্যান্ড এলাকায় নির্মান করা হয় অস্থায়ী শহীদ বেদী। দু বাংলার নো-ম্যান্সল্যান্ডকে সাজানো হচ্ছে নর্বিল সাজে। এবারের মিলন মেলায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লি উন্নয়নও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন কুমার ভট্রাচার্য্য এমপি। বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন যশোর ১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন এমপি ২১ ফেব্রæয়ারী আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবসের সকাল সাড়ে ১১ টায় অস্থায়ী বেনাপোল পোট্রপোল নোÑ ম্যান্সল্যান্ডে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দু-বাংলার আমন্ত্রিত মন্ত্রী,এমপি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনের কর্মকর্তারা, কবি, সাহিত্যক, লেখক এবং দু-বাংলার ভাষা প্রেমী মানুষেরা।
সেখানে ”আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো ২১ শে ফেব্রæয়ারী আমি কি ভুলিতে পারি” এ গানের মাধ্যমে শুরু হয় আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবসের দু বাংলার মিলন মেলা। এসময় মঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মঞ্চে অনুষ্ঠিত দু বাংলার গান ও কবিতা উপভোগ করেন দু বাংলার অতিথিরা। ভারতে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একুশে মঞ্চে বাংলাদেশের ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ও ভাষা শহীদদের নিয়ে আলোচনা সভা, গান, কবিতা আবৃতি অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন শ্রী বিশ্বজিৎ দাস, শ্রী গোপাল শেট, শ্রীমত্য মমতা ঠাকুর, শ্রী শ্যামল রায় ও বনগা পৌরসভার উপ পৌরমাতা শ্রীমতি জ্যোৎসা আঢ্য। অন্যান্য বারের মতো এবারও বিনিময় হয় দু-বাংলার মানুষের সেচ্ছায় রক্তদান কর্মসুচী। যশোর -১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন এমপিও রক্তদান কমৃসুচীতে অংশ গ্রহন করবেন।
একমাত্র বেনাপোলেয় আন্তজার্তিক ভাবে মাতৃভাষা দিবস পালনের মাধ্যমে দু’বাংরার ভাষা প্রেমী মানুষের মিলন মেলা অনষ্ঠিত হয়। এ মিলন মেলার মাধ্যমে দু’ দেশের বাংলা ভাষাভাষি মানুষের মধ্যে সম্পর্ক আরো সুদৃড় হবে।