নিজস্ব প্রতিনিধঃ
নরসিংদী সদর উপজেলার করিমপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর ধারালো দায়ের কোপে স্বামী-স্ত্রী মারাত্মক জখম হয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা যায়।
প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে নরসিংদী মডেল থানা ৫ নং বিটের পুলিশ এস আই মোঃ মনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত রিপন মিয়া (৪৪) কে ১টি ৩ ফুট লম্বা রামদা সহ গ্রেপ্তার করেন।
তথ্যটি নিশ্চিত করেন করিমপুর বিট ইনচার্জ এস আই মোঃ মনোয়ার হোসেন। অভিযুক্তরা হলেন, করিমপুর ইউনিয়নের করিমপুর বিলপাড় গ্রামের মৃত বজলু মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া (৪৪), রিপন মিয়ার ছেলে নূরে আলম (১৯), রিপন মিয়ার স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৩৭) ও আনু মিয়ার স্ত্রী আছিয়া বেগম (৬০)। ভুক্তভোগীর পরিবার ও মামলার বাদী খালেক মিয়া (৫৫) সূত্রে জানা যায়, রবিবার বেলা ১ টার দিকে উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের করিমপুর বিলপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, খালেক মিয়ার ভাতিজা মোবারককে প্রতিবেশী নূরে আলম প্রায়ই সময় মোবাইল ফোনে নিজের কন্ঠ পরিবর্তন করে মেয়েদের কন্ঠ ধারণ করে বিরক্ত করে আসছিল। নূরে আলম প্রায়ই সময় বিরক্ত করে এবং আজেবাজে কথা বলে গালমন্দ করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে নূরে আলম ক্ষিপ্ত হয়ে তার পরিবারের লোকজন সহ গত শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে খালেকের বাড়িতে গিয়ে গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসে। পরে বিষয়টি খালেক মিয়া এলাকায় জানিয়ে বিচার চাইলে রবিবার (১৯ মার্চ) দুপুর ১টায় রিপন মিয়া, নূরে আলম, হোসনে আরা, আছিয়াসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনের একটি দল রামদা, চাপাতি, শাবল,ও লাঠি নিয়ে খালেকের বাড়িতে হামলা করে খালেক মিয়া ও তার স্ত্রী শিল্পী বেগম (৪৫) কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। খালেক মিয়া বলেন, রিপন মিয়া, তার ছেলে নূরে আলমের নেতৃত্বে রামদা, চাপাতি কুড়াল হাতে নিয়ে আমাকে প্রানে মেরে ফেলার জন্য আমার বাড়ীতে আক্রমণ চালায়। বাড়ীতে আমি ও আমার স্ত্রী ছিলাম। আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে রিপনের দায়ের কোপে আমার স্ত্রী আহত হয়। পরে তারা আমাকেও চাপাতি দিয়ে কোপাতে থাকে। এতে আমি ও আমার স্ত্রী গুরুত্বর আহত হই। পরে তারা আমার বাড়ির বেড়া ও ঘরের ভিতরের আসবাবপত্র ভাংচুর এবং গয়না লুট করে। এ সময় আমার স্ত্রীর ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।