ইকরামুল ইসলাম বেনাপোল প্রতিনিধি
বেনাপোল দিয়ে বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলকারী “বন্ধন এক্সপ্রেস” ট্রেনে যাত্রীসেবা ও চোরাচালান রোধে গঠিত “টাস্কফোর্স” এর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১জুন) সকালে ভারতের কোলকাতা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা, বন্ধন এক্সপ্রেস” ট্রেনটি বাংলাদেশের বেনাপোল এসে পৌছালে আবারও “টাস্কফোর্স” অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
সপ্তাহের দুই দিন ভারত থেকে আগত ট্রেনটি’তে যাত্রীসেবা ও চোরাচালান রোধ এবং প্রশাসনের কড়া নজরদারীর আওতায় আনার জন্য এ অভিযান।
বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন ঘিরে বহিরাগতদের দৌরাত্ম ঠেকাতে শার্শা উপজেলা প্রশাসনের নির্ধারিত রুটিন মোতাবেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্বাবধানে কাস্টম, পুলিশ, বিজিবি,র্যাব ও আনসার বাহিনী সহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে “টাস্কফোর্স”টি পরিচালনা করছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বে থাকা উপজেলা (ইউএনও) নারায়ন চন্দ্র পাল।
অভিযানে এসময় কয়েকজন আইন অমান্যকারীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা সহ কয়েকজনকে জেল জরিমানা ও অবৈধ মালামাল আটক করা হয়।
এসময় খুলনা তেরখাদা পানতিতা এলাকার মৃত ওয়াদুদ মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (২৭)কে ১৫ দিন জেল এবং বেনাপোলের ছোট আঁচড়া গ্রামের
সমছের মোড়লের মেয়ে মোছাঃ রেক্সনা (২৭)কে
১০০০ টাকা জরিমানা সহ ৪,৬৫,০০০/- টাকার মালমাল জব্দ করা হয়।
এসময় “টাস্কফোর্সের” অভিযান পরিচালনায়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে আইনি সহযোগি সহায়তায় ছিলেন, শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ইসলাম,বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ভুইয়া , শার্শা উপজেলা আনসার ও ভিডিপি’র (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা-আব্দুল্লাহ আল রাসেল, সহ বিজিবি, পুলিশ, আনসার বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উক্ত অভিযানে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় আইনি কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করেন।
এসময় বিজিবি সহ আনসার বাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সদস্য কর্তৃক অবৈধভাবে মালামাল বহনকারীদের নিকট হতে উক্ত মালামাল জব্দ ও স্টেশনে অবৈধ বহিরাগত রোধ করা হয় বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নারায়ন চন্দ্র পাল।