নিজস্ব প্রতিবেদক।
সোনারগাঁয়ের লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে ইজারা ছাড়া চলছে নাগরদোলা ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ বলছেন অবহেলায় ইজারা দেওয়া হয়নি, তবে দ্রুত সময়ে ইজারা দেওয়া হবে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে ইজারা ছাড়া চলছে নাগরদোলা। গত জুন মাসের ৩০ তারিখে ইজারার সময় শেষ হলেও ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে চলছে নাগরদোলা।
সরেজমিন গতকাল রোববার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, ফাউন্ডেশন চত্ত¡রের ভিতরে ময়ুরপঙ্খী মাঠের পশ্চিম কোনায় তিনটি নাগরদোলা রয়েছে। গ্রাম বাংলার ধারক বাহক এই নাগরদোলা গুলোর জন্য প্রতিবছর ইজারা দেওয়া হয়। ঘুরতে আসা পর্যটকরা মূূল্য পরিশোধ করে চড়ছেন এই নাগদোলায়।
ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা যায়, গত বছর ৮ লাখ ১৬ হাজার টাকায় শাহজালাল নামে একজন এক বছরের জন্য নাগরদোলার ইজারা পায়। গত ৩০ জুন ওই ইজারার মেয়াদও শেষ হয়েছে।
ঢাকা থেকে আসা তাসনিত জান্নাত বলেন, বন্ধুদের সাথে সোনারগাঁ জাদুঘরে ঘুরতে এসেছি। বৃষ্টি হলে নাগরদোলায় চড়বো না কেমন কথা। প্রতিজন ৩০ টাকা করে দিয়ে নাগরদোলায় চড়েছি।
স্থানীয় নাসির উদ্দিন বলেন, একটি চক্র নিজেদের সুবিধার জন্য নাগরদোলার ইজারা ১ মাস ৮ দিনেও দেয়নি। এতে সরকারের রাজস্ব হারাচ্ছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দ্রæত সময়ের মধ্যে দরপত্রের মাধ্যমে ইজারা দিতে হবে।
নাগরদোলা চালানোকারী রাসেল বলেন, নাগরদোলার ইজারার মেয়াদ শেষ হয়েছে আরও এক মাসেরও আগে কিন্তু আমরা নাগরদোলা চালাচ্ছি ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ জানেন।
নাগরদোলার ইজারাদার শাহজালাল বলেন, আমি গত বছর ৮ লাখ ১৬ হাজার টাকায় এক বছরের জন্য নাগরদোলার ইজারা পেয়েছি। এবছরের জুন মাসে এ ইজারার সময় শেষ হলেও নাগরদোলা চালিয়ে যাচ্ছি। এব্যাপারে কেউ কোনো বাধা দেয়নি।
ফাউন্ডেশনের ডেসপ্লে অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইজারা ছাড়া নাগরদোলা চালানোর কোনো সুযোগ নেই। আমাদের অবহেলায় সময়মত ইজারা দেওয়া হয়নি। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে নাগরদোলার ইজারা দেওয়া হবে।
ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক রবিউল হোসাইন বলেন, ফাউন্ডেশনের স্থায়ী কোনো পরিচালক না থাকায় (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পালন করছেন কাজী নূরুল ইসলাম। অতিরিক্ত দায়িত্বের পরিচালককে সবসময় পাওয়া যায়না বিধায় ইজারা দিতে বিলম্ব হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দরপত্র আহবান করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নতুন ইজারা মূল্য যা আসে সে অনুপাতে যতদিন নাগরদোলা চালানো হয়েছে তার রাজস্ব আদায় করা হবে।