নিজস্ব সংবাদাতা।
আসন্ন জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তোড় জোড়, প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন অনেকেই। দলীয় মনোনয়ন পেতে নেতা- কর্মীদের সাথে নিয়ে কেন্দ্র থেকে শুরু করে সর্বত্রই চলছে দৌড় ঝাপ। তবে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে সব কিছু ছাপিয়ে চায়ের স্টল থেকে হাট-বাজার, শপিংমল সব জায়গাতে আলোচনায় আছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা ও মোবাইল ব্যাংকিং নগদের নির্বাহী পরিচালক মারুফুল ইসলাম ঝলক।
মারুফুল ইসলাম ঝলক এর পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এড শামসুল ইসলাম ভূইয়া আ’লীগের প্রতিষ্ঠার লগ্ন থেকে সুদীর্ঘ ৫৮ বছর ধরে সোনারগাঁয়ে রাজনীতি করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন,এছাড়াও দলমত নির্বিশেষে সর্ব মহলে রয়েছে তার গ্রহণযোগ্যতা। ও তার মা প্রফেসর শিরিন বেগম নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা আ’লীগের সভাপতি, যিনি শহর থেকে গ্রাম সব জায়গাতে মহিলাদের কাছে অধিক জনপ্রিয়, নারীর ক্ষমতায়ন, নারী স্বাবলম্বন, এবং নারীদের উন্নয়নে ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রফেসর শিরিন বেগম। মারুফুল ইসলাম ঝলক অত্র আসনের একজন নিবেদিতপ্রাণ আওয়ামী লীগ নেতা ও সর্বস্তরের মানুষের প্রিয়জন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও নির্দেশা অনুস্মরণে সবসময় আন্দোলন- সংগ্রামে, জাতীয় ও দলীয় কার্যক্রমে নেতা-কর্মী ও সাধারণমানুষকে সাথে নিয়ে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। বিভিন্ন সময়ে দেশের দূর্ভোগ, দূর্যোগ ও করোনাকালিন সময়ে সোনারগাঁসহ বিভিন্ন এলাকায় অসহায় হতদরিদ্র মানুষর সাহায্য সহযোগিতায় নিয়োজিত রয়েছেন। রাজনীতির বাইরে একজন সৎ ও পরোপকারী মানুষ মারুফুল ইসলাম ঝলক। একজন ক্লিনইমেজের মানুষ হওয়ায় এলাকার সাধারণ ভোটার থেকে শুরু করে সব শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। অস্থিরতা বা স্হানীয় আধিপত্যের রাজনীতি এড়িয়ে চলেন। তিনি সহিংসু রাজনীতি পছন্দ করেন না। ভালবাসা ও সাহায্য সহযোগিতার মাধ্যমে তিনি মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। ভালবাসা দ্বারা সংঘাত নিরসনে তিনি বিশ্বাসী।এসব গুনাবলীতেই তিনি রয়েছেন সবার আলোচনায়। উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, মারুফুল ইসলাম ঝলক এর বাবার রাজনীতির দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা সে সাথে সর্ব মহলে গ্রহণযোগ্যতা, এবং তার মার ও রয়েছে নারীদের কাছে জনপ্রিয়তা, মারুফুল ইসলাম ঝলক একজন ক্লিনইমেজের মানুষ এবং উদ্যোক্তা এমন একটি পরিবার যদি দলীয় মনোনয়ন পায় তাহলে সোনারগাঁয়ে সর্বমহলে ব্যাপক উন্নয়ন হবে।
বিগত ১০ বছরে সোনারগাঁয়ের এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ছিল না, মহা জোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির এমপি ছিল এ আসনে, কিন্তু মারুফুল ইসলাম ঝলক সবাইকে ছাপিয়ে এগিয়ে চলেছেন দুর্বার। নির্বাচন যতই নিকটে আসছে তিনিও ততই এগিয়ে চলেছেন। সবসময় অসহায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের পাশে পাওয়া যায় তাকে। খোলামেলা, হাসিখুশি স্বভাবের মানুষ হওয়ায় তরুণ শ্রেনির ভোটারদের মনেও জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। তাই আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ঝলক। যে বেশ আলোচনায় ও শক্ত অবস্হানে রয়েছেন তা সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ -৩) সর্বস্তরের মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়। তাদের আরও ধারনা, স্হানীয় বিএনপিকে চ্যালেন্জ করে আওয়ামীলীগের এ আসন ধরে রাখতে মারুফুল ইসলাম ঝলকের বিকল্প নাই।
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ও বর্তমান রাজনীতি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সকল শ্রেণীপেশার ভোটারদের পছন্দের ক্লিনইমেজের আওয়ামীলীগ (মারুফুল ইসলাম ঝলক) উপজেলা আওয়ামী লীগের তরুন নেতা মারুফুল ইসলাম ঝলক বলেন, আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রর্হমানের আদর্শ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনীতি করি। সোনারগাঁ উপজেলার সাধারণ মানুষের ভালবাসা আমার পথ চলার অনুপ্রেরণা। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ এর আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে আমি আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাকে দলীয় নৌকা প্রতিকে মনোনয়ন দান করলে আমিও এই আসনটি মাননীয় নেত্রীকে উপহার দিতে পারবো বলে শতভাগ বিশ্বাসী।
তিনি আরও বলেন, মুজিব আদর্শকে সামনে রেখে মা মাটি মানুষের নেত্রী, গণতন্ত্রের মানসকন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করছি, এবং আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ভাই এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এবং আজীবন কাজ করে যাব। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে কাজ করে যেতে চাই। আপানারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। বাংলাদেশের উন্নয়নে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশর বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নাই। আপনাদের কাছে আসন্ন ১২তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উন্নয়নের প্রতিক নৌকা মার্কায় ভোট চাই। জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।