নিজস্ব প্রতিবেদক।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম। এক বিবৃতিতে এই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার ৬৮তম জন্মদিনে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মম হত্যাকাণ্ডে খুনি-ঘাতকচক্রের হাতে পরিবারের সকল সদস্যকে হারানোর পর বেদনার মহাসমুদ্র বুকে ধারণ করে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দুই বোন ছিলেন একে অপরের শেষ অবলম্বন। দুঃখ-কষ্ট ভাগাভাগি করে দুই বোন কাটিয়েছেন নির্বাসিত ও দুর্বিসহ প্রবাস জীবন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় মানব ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম সেই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রথম প্রতিবাদ গড়ে তোলেন শেখ রেহানা।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হয়েও কখনো সক্রিয় রাজনীতিতে আসেননি শেখ রেহানা। কিন্তু প্রগতিশীল সমাজব্যবস্থা বিনির্মাণ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামসহ প্রতিটি সংকটে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ দলের অন্যান্য রাজনীতিকদের অনুপ্রেরণা জোগানোর পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন। শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু এবং জাতির পিতা হওয়ার পেছনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের যেমন ভূমিকা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হওয়ার পেছনেও শেখ রেহানার অনুরূপ ভূমিকা রয়েছে। দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে নিরবে-নিভৃতে ভূমিকা রেখে চলেছেন প্রচারবিমুখ জাতির পিতার কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। এমনকি তিনি তার নামে বরাদ্দ দেওয়া ধানমন্ডির বাড়িটিও দেশের প্রয়োজনে দান করে দিয়েছেন।’
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘শেখ রেহানা মনে প্রাণে একজন বাঙালি এবং বাঙালির প্রয়োজনে উদারনৈতিক মানবিক মনোভাবাপন্ন নির্মোহ এক ব্যক্তিত্ব। বঙ্গবন্ধু পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে বাঙালির প্রতি তার অসীম মমতা ও ভালোবাসা। দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থরক্ষায় সর্বদা তিনি আপসহীন। সততার অনুকরণীয় আদর্শ শেখ রেহানা একজন রত্মগর্ভা মা। নিজের তিন সন্তানকে তিনি বিশ্বের খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। যারা আজ নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফল ও প্রতিষ্ঠিত। পিতা বঙ্গবন্ধুকে হারানোর পর সীমাহীন দুর্ভোগের মুখোমুখি হয়েছেন এবং ধৈর্য্যরে সঙ্গে নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করেছেন। লন্ডনের মতো শহরে গণপরিবহনে যাতায়াত করেন। এমনকি আরেক বাঙালি পরিবারের সঙ্গে বাসা ভাগাভাগি করে বাস করেছেন। তারপরও জাতির পিতার নীতি ও আদর্শ থেকে কখনও বিচ্যুত হননি। ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকার পরও একজন নিরহংকারী সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপনের বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা। ধৈর্য্য, সততা, সাহস, দৃঢ়তা, অধ্যাবসায়, নিষ্ঠা, উদারতা ও সংযমের অপূর্ব সমন্বয়ে গঠিত এক মানবিক চরিত্রের নাম শেখ রেহানা। জন্মদিনে তাকে আবারও শুভেচ্ছাসিক্ত অভিনন্দন।’