নিজস্ব প্রতিবেদক।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌর এলাকায় ১৯ শে সেপ্টেম্বর রোজ মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২:৩০ঘটিকার সময় ৩জন লোক, কে বা কারা গোয়ালদী হরিসপুর কালভার্ট সংলগ্ন এলাকায় মোসাম্মদ হাজেরা খাতুন এর বাড়িতে প্রবেশ করে তার স্বামী রফিকুল ইসলাম (৬৫ )পিতা মৃত হেদায়েত উল্লাহ তার ছেলে মোঃ হাবিবুর রহমান রনি (৩১)পিতা রফিকুল ইসলামকে এলোপাথাড়ি ভাবে তাদেরকে কুপিয়ে জখম করেছে।
এ বিষয়ে ২০শে সেপ্টেম্বর সকালে সোনারগাঁ থানা একটি সাধারন ডায়রী করেন ভূক্তভোগী পরিবার।
জানাযায়,রাত আনুমানিক ২ঘটিকার সময় পাশের বাড়ির আজাদ মিয়ার বাড়িতে সন্দেহ বাজন কিছু ব্যক্তির আনাগোনা শুনতে পেলে আজাদ ঐ সময় র্টচ লাইট নিয়ে বের হলে তিন জনকে দেখতে পান এবং তারা র্টচ লাইটের আলো দেখে সেখান থেকে সরে পরেন।তার পর তাদের আর দেখতে না পেরে তিনি বাসায় ঘুমিয়ে পরেন।
পর সকালে ঘুম থেকে উঠে জানতে পারেন হাজেরা আপার বাসায় কে বা কারা তাদের উপর আক্রমন করে তার স্বামী রফিকুল ইসাম ও ছেলে হাবিবুর রহমান রনিকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে এবং তাদের ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোক ছুটে আসলে তাদেরকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাদেরকে ঢাকা মেডিক্যাল রেফার্ট করলে চিকিৎসা নিয়ে তারা বাসায় ফিরে আসেন।
সরে জমিনে গিয়ে জানাযায় হাজেরা খাতুন এই এলাকারই মেয়ে। তিনি বিবাহের পর থেকে পিতার সম্পত্তির ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া জায়গায় ঘর-বাড়ি তৈরী করে দীর্ঘ ২৭বছর যাবৎ বসবাস করে আসছে। তাদের সাথে এলাকার কোন লোক জনের বিরোধ নাই। কি কারনে তাদের উপর এরূপ হামলা করবে তা জানা ছিল না। এ ঘটনায় তার স্বামীর মাথায় ২৫টি সেলাই এবং তার ছেলের মাথা ও কানের মোট ৩৫সেলাই দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় তারা কেউ কাউকে চিনে না। তারা সবাই মুখোশ পরা ছিল।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানায় সাধারন ডায়রী করলে, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুবুল আলম সুমন সরেজমিনে দতন্ত করে বলেন, কে বা কারা এই কাজ করেছে তদন্ত সাপেক্ষে আইন আনুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে এলাকা বাসি জানিয়েছেন,আমাদের এলাকায় এর আগে এ দরনের কোন কার্যকলাপ কখনো হয়নি।হঠাৎ এ ধরনের কাজে এলাকাবাসী আতংকিত। তারা সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে এদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।