শ্রেনীকক্ষে সচেতনতা সৃষ্টি ওসি শরীফ আহমেদ
শরীয়তপুরের জয়েন্তী নদীর তীরে ১৯৬০ সালে গড়ে উঠা প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ডামুড্যা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শ্রেনীকক্ষে আজ ডামুড্যা থানার অফিসার ইনচার্জ শরীফ আহমেদ। আজ ১ আগস্ট সোমবার দুপুর বেলা ডামুড্যা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজিত কুমার কর্মকার এর আমন্ত্রণে ডামুড্যা থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) শরীফ আহমেদ নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মোটিভেশনাল বক্তব্য প্রদান করেন। অফিসার ইনচার্জ তার বক্তব্যে শিক্ষায় অনুপ্রেরণা,কর্মমুখী শিক্ষা, বাল্যবিবাহ, যৌন নিপিড়ন, ইভটিজিং, মাদক, মোবাইলে আসক্তি,বিদ্যুৎ ও গ্যাস ব্যবহারে মিতব্যয়িতার অভ্যাস গড়া ইত্যাদি নানাবিধ বিষয় সাবলীল ভাবে উপস্থাপন করেন। শ্রেনীকক্ষে বক্তব্য প্রদানকালে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শ্রেনীকক্ষের শিক্ষিকা ও উক্ত স্কুলের প্রধান সুজিত কুমার কর্মকার এসময় উপস্থিত ছিলেন। সেই সময় শ্রেনীকক্ষে পিনপতন নীরবতা বিরাজ করছিল।ছাত্রীরা যেন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে অফিসার ইনচার্জ শরীফ আহমেদ এর কথা শুনছিল। দুহাত উঁচিয়ে বাল্যবিবাহ ও ইভটিজিং কে জোরালো ভাবে ” না” বলেছে। শ্রেনী শিক্ষকগণই সর্বদা তাদের ক্লাস নিয়ে থাকলেও এবার তাদের শ্রেনীকক্ষে শিক্ষকের সাথে অফিসার ইনচার্জ( ওসি) এর আগমনে তারা খুবই কৌতুহলী হয়ে উঠে। গভীর আগ্রহভরে তারা অফিসার ইনচার্জের বক্তব্য শ্রবণ করে।অফিসার ইনচার্জ তার পুলিশ জীবনের অভিজ্ঞতা, শিক্ষা ও বাস্তবতার আলোকে উপরোক্ত জনসচেতনতা মুলক বিষয়ে তথ্য উপাত্ত এবং বিবিধ দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করে বক্তব্য তুলে ধরলে এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করে ও শিক্ষনীয় নানা উপাদান খুঁজে পায় মর্মে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কথায় ফুটে ওঠে। এভাবে মাঝে মধ্যে আকস্মিক ভাবে অফিসার ইনচার্জের স্কুলে এসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অফিসার ইনচার্জ কে আহবান জানানো হয়। শিক্ষার্থীদের মাঝে আবারও ওসি আসবেন বলে তাদেরকে আশ্বস্ত করেন। জয়তু ডামুড্যা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়।