নিজস্ব প্রতিবেদক।
অনেক আগে থেকেই সাধারণ মানুষ মনে করতো কর্মব্যস্ত যানজটের একমাত্র শহর ঢাকা। কিন্তু না বর্তমান সময়ে সোনারগাঁও উপজেলা রোডের যানজট যেন এখন নিত্য দিনের সঙ্গী।প্রতিদিনের এ যানজট থাকার কারণে যাত্রীসহ সাধারণ মানুষেরা চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন। অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
এ দীর্ঘ যানযটের প্রধান কারণ হিসেবে দেখা গেছে,বিভিন্ন কোম্পানির ভারী যানবাহন,মাত্রা অতিরিক্ত ব্যাটারিচালিত অটো রিক্সা,যেখানে সেখানে যাত্রী উঠানামা,চালকরা নিয়ম না মেনে গাড়ি চালানো, মার্কেট গুলোর সামনে লোড-আনলোড, সড়কের দু’পাশে ফুটপাত বসানো ইত্যাদি।
এ যানজটের কারণে স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী থেকে শুরু করে সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে।
পরিবেশ রক্ষা উন্নয়ন সোসাইটির সহ-সভাপতি মনির হোসেন জানান,উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তার পূর্ব ও পশ্চিম পাশের রাস্তার যানজট যেন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে গেছে। সংযোগ সড়কের উভয় পাশের ফুটপাত দখল করে নিয়ে নানা ধরনের দোকানপাট বসিয়ে যানজটের সৃষ্টি করছেন প্রভাবশালীরা। ফুটপাতের দোকানগুলোতে ক্রয়-বিক্রয় করতে সাধারণ মানুষের ভীড় জমে রাস্তায়। এই সমস্ত দোকানপাট রাস্তার পাশ থেকে সরানো না গেলে যানজট নিরসন সম্ভব হবে না।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম খোকন বলেন, উপজেলা রোডে বিভিন্ন কোম্পানির ভারী যানবাহনে মালামাল আনা নেয়ার জন্য এখানে প্রতিদিন অতিরিক্ত গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়। এবং স্থানীয় মার্কেটগুলোতে নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থা না থাকার কারণে বাধ্য হয়েই চালকদেরকে গাড়ি রাস্তায় রাখতে হচ্ছে। রাস্তায় গাড়ি রাখার ফলে রাস্তা প্রায় অর্ধেকটা দখল হয়ে যাওয়ায় অন্যান্য গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। এতে করে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানযটের আর ভোগাস্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
ব্যবসায়ী আমান উল্লাহ বলেন, প্রতিদিনই দীর্ঘ যানজট থাকার কারণে গাড়ি নিয়ে চলাচল করা খুবই মুশকিল হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, ইতিমধ্যে যানজট নিরসনের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সাথে মিটিং হয়েছে। অযথাই রাস্তায় গাড়ি না রাখা, নির্ধারিত সময় ব্যতীত লোড-আনলোড না করা,সড়কের ফুটপাতে দোকান না বসানোসহ আরো বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।আশা করি এগুলো মেনে চললেই অনেকটায় যানজট মুক্ত হবে।