নিজস্ব প্রতিবেদক।
তিলোত্তমা নগরী ঢাকার অপ্রতুল রাস্তার বিশাল একটি অংশ হকার এর দখলে থাকায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ে,যান ও জন চলাচলে অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাবসহ অপচয় হয় হাজার হাজার কর্মঘন্টা। ইতোপূর্বে মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগ নিজ অধিক্ষেত্রে অনেক জায়গা থেকেই হকার উচ্ছেদ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২ জুন দুপুর ১২ টায় একযোগে গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার হতে গোলাপশাহ মাজার লিঙ্ক রোড, পুরানা পল্টন এলাকা ও ফকিরাপুল এলাকায় রাস্তা দখলমুক্তকরনে হকার উচ্ছেদ করা হয়। এসময় মালামাল জব্দ এবং হকারদের থানায় প্রেরন করা হয়। স্থানীয় অধিবাসী,পথচারী,সাধারন জনগন ও সচেতন মহল ডিএমপি’র এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।
বিশেষ উল্লেখ্য যে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জনাব হাবিবুর রহমান, বিপিএম(বার) পিপিএম(বার) কর্তৃক প্রণীত ‘স্পট বাই স্পট’ সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ প্রানান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পেশাদারিত্ব ও কায়িক পরিশ্রমের মাধ্যমে মিশেলে দিনরাত অহর্নিশ পরিশ্রম করে যাচ্ছে ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ।
এবিষয়ে মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার জনাব মোহাম্মদ মইনুল হাসান পিপিএম বলেন, ডিএমপি কমিশনার স্যারের নেতৃত্বে ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ রাস্তা দখলমুক্ত করে শতভাগ যান ও জন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। মতিঝিল পূবালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা জনাব মিজানুর রহমান জানান, পূর্বের তুলনায় জিরো পয়েন্ট হতে শাপলা চত্বর পর্যন্ত রাস্তার উপর থেকে সিংহভাগ হকার উচ্ছেদ হওয়ায় যানজট ও জনদুর্ভোগ কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। তিনি ডিএমপি কমিশনারের উদ্যোগগুলোকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকার সব রাস্তা ও ফুটপাথ দখলমুক্ত করণের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
“ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ সকল শ্রেণী পেশার কম্যুটারসগণকে ট্রাফিক শৃংখলা ও আইন মান্যতার সংস্কৃতি লালন ও পালন করার অনুরোধ জানাচ্ছে।
ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ সম্মানিত নগরবাসীকে স্বস্তি প্রদানে বদ্ধ পরিকর।