নিজস্ব প্রতিবেদক।
রংপুরে ঔষধ ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন মাইনুলের সাথে প্রতারণা করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনার মামলায় আদালত সাবিনা ইয়াসমিন মিতু ওরফে টিকটক সুন্দরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশদেন। ২৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামীরা হাজিরা দিতে আসলে অন্যান্য আসামীর হাজিরা নিয়ে ছেড়ে দিলেও আদালত মিতুকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রংপুর পীরগঞ্জ উপজেলার জামালপুর লালদিঘির ভ্যান চালক হযরত আলীর মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন মিতু তার নিজের সুন্দর চেহারা আকাজে লাগিয়ে নিত্যনতুন কৌশলে বিশিষ্ট ঔষধ ব্যবসায়ী মাইনুলকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ধাপে ধাপে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিলেও প্রমাণ মেলে শুধু ২১ লক্ষ্য টাকার। টাকা নেওয়ার ও স্বার্থ হাসিল শেষ হলে আকরাম হোসেন মাইনুলকেও তালাক দিতে বাধ্য করে সে। এটাই তার প্রথম বিয়েও নয়। এমন বিয়ে তিনি আরও করেছেন। এক পর্যায়ে মিতুকে আইন মোতাবেক তালাক দেন আকরাম হোসেন। তালাক দিয়ে মিতুর আত্মসাত করার টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন তালবাহানা করেন। টাকা না দিয়ে পাল্টা বিপদে ফেলতে মিতুর নেপথ্য মাষ্টারমাইন্ড নারী শিশু, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলার আসামী আব্দুল করিম সরকার ও মিজানুর রহমান মিজানসহ আরও অজ্ঞাত নায়কদেরও সাথে নেন। তাদের ব্যবহার করে ব্যবসায়ী মাইনুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে ও আদালতে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীনভাবে দৌড়ঝাপ করে নাটকীয় কায়দার অভিযোগ, এজাহার, জিডি করে এবং মোবাইল ফোনে ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন মিতুগং।
ভুক্তভুগি মাইনুলের মামলায় ২২ জুন সাবিনা ইয়াসমিন মিতুসহ ২জনকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন রংপুর পীরগঞ্জ থানার পুলিশ। বিজ্ঞ আদালতে প্রতারক বাবা ও মেয়েকে হাজির করলে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে ৩০ জুন জামিনে মুক্তি পেয়ে মিতু ও তার সহযোগিরা মিলে ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন মাইনুলকে আবারও বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন এবং মিথ্যা মামলা দায়েরের চেষ্টা করেন।
এ সংক্রান্তে মিতুগং থেকে বাঁচতে মাইনুল সংবাদ সম্মেলন করে সংবাদকর্মীগণ ও প্রশাসনিক থেকে সহযোগিতা কামনা করেন।
২৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার আদালতে নির্ধারিত হাজিরার তারিখে হাজিরা দিতে আসলে অন্যান্য আসামীর হাজিরা নিলেও মিতুকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিজ্ঞ আদালত।