মোক্তার হোসেন বিশেষ প্রতিনিধি
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে ইউএনডিপির আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর দেশের প্রতিটি উপজেলা ইউনিয়ন পর্যায়ে তথ্যসেবা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় “ তথ্যই শক্তি স্লোগান দিয়ে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে তথ্যসেবা কার্যক্রম চালু করা হয়। এরপর এগারো বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় যথাযথ ভাবে কাজে আসছেনা ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, উদ্যোক্তারা সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে তথ্যসেবা দিয়ে আয় করবেন, সরকার তাদের কোনো ধরনের বেতন-ভাতা দেবে
না। যার ফলে উদ্যোক্তাদের অতিরিক্ত অর্থ আদায় বানিজ্যের কারনে সোনারগাঁওয়ে সকল
ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রগুলোতে সেবা নিতে এসে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনসহ অন্যান্য সেবা বিড়ম্বনায় প্রতিদিন হয়রানী ও চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারন মানুষ।
তারই ধারাবাহিকতায় শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদের জম্ম নিবন্ধন কিরতে গিয়ে সাধারণ জনগণের হয়রানি ও অর্থ বানিজ্যের শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমরা জন্ম নিবন্ধন এর জন্য কাগজ জমা দিছি এবং কয়েকদিন ইউনিয়ন পরিষদে আসছি আমার জন্ম সনদ কাগজ এখনো হাতে পাই নাই, অথচ এমনো ব্যক্তি আছেন যারা আজকে জন্ম সনদ জমা দিয়ে কালকেই হাতে পেয়ে যান। আমাদের মত
সাধারণ জনগণ এর পক্ষে কথা বলার মত কেউ আসে না। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গণমাধ্যম কর্মীরা সত্যতা নিশ্চিত করতে গেলে শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে কথা বলতে চায়নি। উল্টো তিনি তার ইউপি সদস্যদেরকে দিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের টাকা দিয়ে তার ইউপিতে অনিয়ম ও দূর্নীতি ঢেকে রাখতে চেষ্টা করেন।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায় শম্ভুপুরা ইউপিতে কর্মরত উদ্যোক্তা শিমা ও হিমেল এর এই অনিম এর সাথে সম্পৃক্ত সে সাথে ইউপি সচিব মহিউদ্দিন বলেন উক্ত বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান অবগত আছেন । এ বিষয়ে তাদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা কথা বলতে ইচ্ছুক না,এমনতো অবস্থায় শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ একপর্যায়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে উত্তেজিত হয়ে এবং আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে অশালীন ব্যবহার করেন ও ইউপি সদস্যরা উপস্থিত সাংবাদিকদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার ভিডিওটি সংরক্ষিত রয়েছে।