নিজস্ব প্রতিবেদক।
নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁর মোগরাপাড়া-শম্ভুপুরা ইউনিয়নের রাস্তা মেরামত নিয়ে ঠিকাদারের গাফিলতির ফাঁদে তিনশত এসএসসি পরীক্ষার্থীরা
গত শনিবার (১৪ মে) আনুষ্ঠানিকভাবে শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদে এই রাস্তা মেরামতের উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ-০৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, এমপি।উদ্বোধনকালে তিনি বলেছিলেন, আগামীকাল রবিবার (১৫ মে) থেকে এই রাস্তার পুরোদমে মেরামতের কাজ করা হবে। কিন্তু এক মাস অতিবাহিত হলেও মেরামতের কাজ শুরু হয়নি। ঠিকাদারের কাজের কোনো আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
সোনারগাঁ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় দফায় রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। যা অতিদ্রুত সাধারণ মানুষের চলাচলের উপযোগী করা হবে।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে ঠিকাদার জানান, আবহাওয়ার কারণে আমাদের কর্মীরা ঠিক মতো রাস্তা মেরামতের কাজ করতে পারছে না। আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ আধুনিক যন্ত্রপাতি ও কাজের কর্মী রয়েছে। তিনি আরও জানান যে, অতি দ্রুত আমরা রাস্তাটি ব্যবহারের উপযোগী করে তুলবো।
হোসেনপুর স্কুল পরিক্ষা কেন্দ্রে যেতে ভোগান্তীতে পড়েছে তিন শতাধিক পরিক্ষার্থী। পরিক্ষার্থীরা জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাদের এসএসসি পরিক্ষা শুরু। পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করতে সকালে হোসেনপুর স্কুলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন প্রায় ৩৭১জন পরিক্ষার্থী ও তাদের অভিভারকরা। এমন ভোগান্তীর শিকার হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। পরে স্থাণীয় লোক ও শিক্ষার্থীরা রাস্তা সংস্কার করে পরিক্ষা কেন্দ্রে যায় পরিক্ষার্থীরা।
তারা জানায়, দীর্ঘদিন যাবত হোসেনপুর রাস্তার কাছ করছিলেন একজন ঠিকাদার। পরিক্ষা উপলক্ষে ঠিকাদারকে বলা হয়ে ছিল পরিক্ষার্থীরা যাতে নির্ভিগ্নে যেতে পারে সেজন্য রাস্তাটিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে। কিন্তু ঠিকাদার দুই দিন বৃষ্টির কারণে রাস্তার কাজ যত্রতত্র ফেলে রাখে। রাস্তা কাজ করার কারণে বিভিন্ন জায়গায় খান্দাখন্দ করে ফেলে রাখে ঠিকাদার। বৃষ্টির কারণে সেখানে পানি জমে যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে যায়। আজ সকালে যখন পরিক্ষার্থীরা তাদের অভিভাবকদের নিয়ে কেন্দ্রে যেতে শুরু করে তখন যানবাহন চলতে না পেরে যানজট সৃষ্টি হয়ে চরম ভোগান্তীতে পড়ে। এ দিকে পরিক্ষার সময়ও গনিয়ে আসার কারণে স্থাণীয় ও পরিক্ষার্থীদের সহায়তায় রাস্তায় বস্তা ফেলে রাস্তাটি কোন রকম যান চলাচলর জন্য উম্মুক্ত করা হয়। রাস্তাটি যানচলাচলের জন্য অনুপযোগী ও যানজটের কারনে অনেকে কেন্দ্রে যেতে বিলম্ব হয়।
এ ব্যাপারে হোসেনপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলী জানান, রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার কাজ চলছিল। পরিক্ষা উপলক্ষে আমরা ঠিকাদারকে বলেছিলাম যানচলাচলের রাস্তার কিছু অংশে মাটি ও ইট ফেলে সংস্কার করতে। কিন্তু ঠিকাদারের গাফলতির কারণে সকাল থেকে ভোগান্তীতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।এ
ব্যাপারে উপজেলা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সহকারী কর্মকর্তা কাজল জানান, পরিক্ষা উপলক্ষে আমরা বিভিন্ন মিটিংয়ে রাস্তাটি পরিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য কিছুটা সংস্কার করতে বলেছিলাম কিন্তু ঠিকাদার গাফলতি করার কারণে ভোগান্তীতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।