নিজস্ব প্রতিবেদক।
আজকাল দেখা যায় কিশোর ও তরুন বয়সী ছেলেদের কেউ কেউ সকাল, দুপুর, বিকাল কিংবা সন্ধায় পড়াশুনা, কাজকর্ম ইত্যাদি ফেলে রেখে দোকানে কাপড় কিংবা প্লাস্টিকের চট টাঙ্গানো আবৃত পরিবেশে টাকা দিয়ে কেরাম খেলে, লুডু খেলে। কোথাও উম্মুক্ত জায়গায় ও উপরোক্ত খেলায় মেতে
উঠে। এরাই পরবর্তী ধাপে জুয়া খেলায় আসক্ত হয় । এই সব কিশোর ও তরুণদের অপরাধ মুলক কর্মকান্ডের প্রবণতা থেকে সরিয়ে এনে পড়ার টেবিলে বসাতে এবং সৃজনশীল কাজের সাথে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে পুলিশী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সম্প্রতি আারও লক্ষ্য করা যাচ্চে যে, কিশোর ও তরুণদের অনেকে এনড্রয়েট মোবাইল ফোনে নানারকম গেইমসে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। সারাদিন তারা বাড়ির ধারে, রাস্তার পাশে কিংবা খোলা মাঠে কিংবা দোকানে জটলা পাকিয়ে বসে পাপজি,ফ্রি ফায়ার ইত্যাদিসহ হরেক রকম গেমস খেলে থাকে। কখনো কখনো অনলাইনে জুয়া ও খেলে থাকে। এরাই পরবর্তীতে মাদকাসক্ত,মাদক ব্যবসায়ী , জুয়াড়ি ইত্যাদি নানাবিধ অপরাধমুলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে।
আজ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ বিকাল ৫ ঘটিকা হইতে রাত ৮ ঘটিকা পর্যন্ত শরীয়তপুর জেলা পুলিশের সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ সাইফুল হক স্যারের দিকনির্দেশনায় ডামুড্যা থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব শরীফ আহমেদ এর নেতৃত্বে ডামুড্যা থানার অফিসার ফোর্সসহ উপরে বর্নিত বিষয়ে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের নওগাঁ গ্রাম, বড়ব্রীজ এবং ডামুড্যা পৌরসভার কুলকুড়ি এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করে কিছু কিশোর ও তরুণদের জিঙ্গাসাবাদের জন্য সাময়িক আটক করা হয়। তাদের অভিভাবকগণ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে এসে জানায় যে, তাদের ছেলেরা আর টাকা দিয়ে কেরাম খেলবে না, লুডু খেলবে না। মোবাইলে আসক্তি জন্মানো বিভিন্ন গেইমস আর খেলবে না। অভিভাবকগণ ছেলেদের প্রতি বিশেষ নজর রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করলে এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত মেম্বার ও কাউন্সিলর গণ ও দায়িত্ব নিয়ে এবারকার মতো তাদের কে সংশোধনের সুযোগ করে দেয়ার অনুরোধ করলে অফিসার ইনচার্জ মহোদয় এসব কিশোর ও তরুণদের সংশোধনের সুযোগ দিয়ে অভিভাবকদের নিকট বুঝিয়ে দিলে তারা থানা পুলিশকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। সাধারণ মানুষ পুলিশ সুপার শরীয়তপুর মহোদয়ের নির্দেশিত ডামুড্যা থানা পুলিশের এই অভিযান কে বিপুল ভাবে স্বাগত জানান।