নিজস্ব প্রতিবেদক।
সোনারগাঁও পৌরসভার হচ্ছে ঐতিহ্যগতভাবে সমৃদ্ধ এবং প্রসিদ্ধ একটি এলাকা। এই পৌরসভার একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ হচ্ছে পুরান টিপরদী বাস স্টেশন থেকে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন-সোনারগাঁও জাদুঘর ১নং গেট যাওয়ার রাস্তাটি। বর্তমানে এই রাস্তার বেহাল দশার কারণে থমকে আছে এই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের ভাগ্যের চাকা। মাত্র দুই কিলোমিটার সড়কটি এখন এই অঞ্চলের মানুষের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। তবুও দৃষ্টি নেই কর্তৃপক্ষের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পৌর এলাকা ছাড়াও আশেপাশের দুই থেকে তিনটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা হচ্ছে পুরান টিপরদী হতে জাদুঘরে এক নাম্বার গেট যাওয়ার ।
অনেক বছর আগে পাকা করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে বছরের পর বছর রাস্তাটি সংস্কার কিংবা মেরামত না করায় বর্তমানে বর্ষা মৌসুমেও চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে রাস্তার কিছু কিছু অংশ মাটি সরে গিয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্তের। যে গর্ত পায়ে হেঁটে পার হওয়াই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
শুধু তাই নয় এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে এই অঞ্চলের ছোট বড় কোম্পানির বিভিন্ন বড় বড় যানবাহনসহ অসংখ্য গাড়ি,যেমন ফ্রেশ গ্রুপ, আমান গ্রুপ ও বেঙ্গল গ্রুপের বড় বড় কন্টেইনার এবং বড় বড় পিকআপ এর চলাচলের জন্য এ রাস্তাটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বর্তমান সময়ে চলাচলের জন্য অনুপোযোগী, এমনকি ভ্যানগাড়িও চলাচল করতে পারছে না একটু বৃষ্টি হলেই হয়ে যায় পুকুরে সমতুল্য।
এছাড়াও রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে মাঝেমধ্যে পিকআপ সহ হালকা যানবাহন ভেঙে পড়ে যায় যারফলে রাস্তার দুর্ভোগের মাত্রাকে আরও একধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। রাস্তাটি ভালো না হওয়ায় শুকনো ও বর্ষা মৌসুমে এই অঞ্চলের শত শত শিক্ষার্থীদের দীর্ঘপথ পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়ে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। যার কারণে এই অঞ্চলের মানুষদের অর্থনীতির চাকা থমছে আছে মাত্র এই দুই কিলোমিটার রাস্তার কারণে।
স্থানীয় এলাকার জনসাধারণ বলেন
দেশের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে শহরের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার কথা থাকলেও আমরা এই সুবিধা থেকে অনেক দূরে আছি। আমরা এই অঞ্চলের মানুষরা এখনো চরমভাবে অবহেলিত। গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন না করা পর্যন্ত শহরের সুবিধা কখনোই গ্রামে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই এই সামান্য রাস্তাটিকে দ্রুত আধুনিকায়ন করে এই অঞ্চলের কৃষকসহ হাজার হাজার মানুষের ভাগ্যের চাকা সচল করতে প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এ বিষয়ে
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ এলাহী বলেন, আমি রাস্তাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি, প্রকল্প আসছে দ্রুত তা সংস্কার কিংবা মেরামত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করব ইনশাআল্লাহ।