সোনারগাঁ প্রতিনিধি।
ঐতিহ্য সংস্কৃতি এবং অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অন্যতম উপজেলা গুলুর মধ্যে সোনারগাঁ উপজেলা হচ্ছে অন্যতম। আর এই উপজেলার প্রধান যে রাস্তাটি মোগরাপাড়া চৌরাস্তা থেকে বৈদ্যের বাজার চলাচলের জন্য এ রাস্তাটি একমাত্র নির্ভরশীল তেমনি ভাবে এই রাস্তায় রয়েছে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সোনারগাঁ উপজেলা প্রশাসন ভবন, এমনকি সোনারগাঁ থানা ও রয়েছে এ রোডে, দিনের পর দিন তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে এই সড়কটি। মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাস স্ট্যান্ড থেকে উপজেলা হচ্ছে মাত্র ২ থেকে তিন কিলোমিটার পর্যন্ত প্রায়। কিন্তু বৈদেরবাজার ইউনিয়নে গড়ে ওঠা অনেকগুলো বড় ছোট কোম্পানির বারি যানবাহনের ফলে সৃষ্ট হচ্ছে তীব্র যানজট আর এই ২ থেকে ৩ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টির অন্যতম কারণ হচ্ছে, মেঘনা গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রির (ফ্রেশ)এর বড় বড় কন্টেইনার এবং পিকআপ ভ্যান। সেইসাথে যোগ হয়েছে আমান গ্রুপের কন্টেইনার পিক আপ ভ্যান, ট্রাক,এবং বেঙ্গল গ্রুপের ও বড় বড় যানবাহন চলে এরাস্তা দিয়ে, সে সাথে আছে ছোট ছোট আরো নানান কোম্পানির ছোট বড় অসংখ্য যানবাহন।
উদ্দামগঞ্জ বাজার থেকে মোগরাপাড়া চৌরাস্তার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন আবু সাদিক। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সিএনজিতে উঠে দুই ঘণ্টা পরেও চৌরাস্তায় পৌঁছাতে পারিনি। রাস্তায় অনেক যানজট। গাড়ি এক মিনিট চললে পাঁচ মিনিটি থেমে থাকে।
উপজেলার গেট থেকে থেকে অটো রিক্সায় উঠেছেন উর্মি নামে এক যাত্রী। তিনি বলেন,এখান থেকে চৌরাস্তা স্ট্যান্ড আসতে আমার দুই ঘণ্টার বেশি লেগেছে। সচরাচর এখানে জ্যাম না থাকলে আসতে ২০ মিনিটের ও কম সময় লাগে।’
আবদুস সালাম নামের একব্যক্তি বলেন,প্রতিদিনই এই রাস্তায় এত অটো রিক্সা সিএনজি সে সাথে বড় বড় কোম্পানির গাড়ি তো আছেই। এই যানজট নিরসনের জন্য কেউ কোন পদক্ষেপও সেভাবে নিচ্ছে না। আদৌ কি এ রাস্তার যানজট কমবে তাও বুঝতে পারছি না। আরিফ নামের আরেক ব্যক্তি বলেন ইমারজেন্সি রোগীকে নিয়েও ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয় এই রাস্তাটির মাঝে, তাই আমাদের একটাই দাবি কোম্পানির গাড়ি গুলো যেন দিনের বেলা না চলে রাতের বেলায় এ রাস্তা চলাচলে একটা ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক,তা না হয় তারা বিকল্প রাস্তা দিয়ে এই বড় বড় গাড়িগুলো চলুক। তিনি আরও বলেন স্থানীয় সংসদের দৃষ্টি আকর্ষণ সহ সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।